The two world leaders shook hands ahead of crunch talks as Mrs May had to swallow his criticism of her Brexit negotiationsবাংলা সংলাপ ডেস্কঃ মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের প্রথম যুক্তরাজ্য সফরের শুরুতেই বিস্ফোরক মন্তব্যের ফুলঝুরি ছুটিয়েছেন ডনাল্ড ট্রাম্প। সফর শুরুর আগে বৃটিশ ট্যাবলয়েড দ্য সানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বৃটেনের নানা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে খোলেমেলা কথা বলেন। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মেকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তার নমনীয় ‘ব্রেক্সিটে’র (ইইউ থেকে বৃটেনের প্রস্থান) ফলে বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা মাটি হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেছেন, ব্রেক্সিট দরকষাকষি নিয়ে তার দেওয়া পরামর্শ তেরেসা মে অগ্রাহ্য করেছেন। তার ভাষ্য, ‘যদি বৃটেন প্রস্থানের বিষয়ে ইইউ’র সঙ্গে নমনীয় চুক্তি করে, তাহলে আমরা বাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে কার্যত বৃটেনের সঙ্গে আলোচনা করবো না; কারণ সেটা হয়ে যাবে অনেকটা ইউরোপিয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার সমতুল্য। ফলে এ কারণে সম্ভবত চুক্তি মাঠে মারা যাবে।আমি আসলে তেরেসা মেকে বলেছিলামও তার কী করা উচিৎ, কিন্তু তিনি আমার কথা শোনেননি।’
এর আগে প্রেসিডেন্টের ঘনিষ্ঠ কিছু সূত্র বলেছিল, নমনীয় চুক্তি হলে যুক্তরাজ্যের অনেক বিষয়েই কিছুটা নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইইউর। ব্রাসেলসের সঙ্গে এই ঘনিষ্ঠতা থাকলে বৃটেন-যুক্তরাষ্ট্র আন্তঃআটলান্টিক বাণিজ্য চুক্তি অসম্ভব হয়ে পড়বে।US President Donald Trump and First Lady Melania Trump are welcomed at Blenheim Palace by Prime Minister Theresa May and her husband Philip May before his extraordinary intevention on Brexit last night – and all four looked extremely serious
শুধু ব্রেক্সিট নিয়ে নয়, বৃটেনের আরও নানা বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন ট্রাম্প। কিছুদিন আগে পদত্যাগ করা বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসনের প্রশংসা করে তিনি বলেন, জনসন অসাধারণ প্রধানমন্ত্রী হবেন। তার বিদায়ে আমি কষ্ট পেয়েছি। প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তেরেসা মে ও বরিস জনসন। এখনও জনসনকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের মধ্যে এই পদের অন্যতম দাবিদার ভাবা হয়।
এছাড়া লন্ডনের লেবার দলীয় মেয়র সাদিক খানের সঙ্গে পূর্বের তিক্ততা আরও নতুনভাবে নিয়ে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তার বক্তব্য, সন্ত্রাসবাদের ইস্যুতে লন্ডন মেয়রের পারফরম্যান্স বেশ শোচনীয়।Melania, who will later join her husband to meet the Queen, struck the right note with her look
তার আরেক বিস্ফোরক মন্তব্য ছিল অভিবাসন নিয়ে। তিনি মনে করেন, ‘লাখ লাখ মানুষকে ইউরোপে প্রবেশ করতে দেওয়াটা’ উচিৎ হয়নি। তিনি এর সঙ্গে লন্ডনে অপরাধের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে বলে ইঙ্গিত দেন। এটি সামাল দিতে সাদিক খানের ব্যর্থতার সমালোচনা করেন। পাশাপাশি, এত অভিবাসী প্রবেশের ফলে ইউরোপের ‘সংস্কৃতি’ হারিয়ে যাচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি। তার মতে, ইউরোপে অভিবাসন হতে দেওয়াটা লজ্জাস্কর বিষয়। Mr May and Mrs Trump helped Chelsea Pensioners and schoolchildren make poppies
এছাড়া তার সফরের সময় লন্ডনের আকাশে বিশাল আকারের ট্রাম্প বেলুন ওড়ানো হচ্ছে। ডায়পার পরা শিশু ট্রাম্পের বেলুন ও প্রতিবাদ নিয়ে তিনি বলেন, এসবের ফলে তার মনে হচ্ছে লন্ডনে তিনি স্বাগত নন। ট্রাম্প আরও বলেন, লন্ডন শহর একসময় তার পছন্দের ছিল, কিন্তু এখন সেখানে যাওয়ার তেমন কারণ পান না তিনি।
তবে বৃটিশ রানী ও জনগণ নিয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করেছেন তিনি। তার বিশ্বাস, তিনি যা চান, বৃটিশ জনগণও তা-ই চায়।
এদিকে ট্রাম্পকে স্বাগত জানাতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজন করেছেন তেরেসা মে। ব্রেক্সিটের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে উচ্চাকাঙ্খী বাণিজ্য চুক্তি করতে ট্রাম্পকে রাজি করাতে তার আগের মন্তব্য দৃশ্যত অগ্রাহ্য করছেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী।Hours after he landed in London for a four-day tour of the UK, President Donald Trump says he feels ‘unwelcome’ in England’s capital and a 20ft ‘Baby Trump’ blimp made in his likeness is to blame
টুক্সেডো পরিহিত ট্রাম্পকে ঐতিহাসিক বেলেনহেইম প্রাসাদে স্বামী ফিলিপ মে সমেত স্বাগত জানান তেরেসা। ট্রাম্পের পাশে এ সময় ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ছিলেন। তবে মোলাকাতের পরপরই তেরেসা মের হাত ধরে সামনে আগাতে থাকেন ট্রাম্প। গতবার তেরেসা মের হোয়াইট হাউজ সফরেও একই কান্ড করেন তিনি।
This website uses cookies so that we can provide you with the best user experience possible. Cookie information is stored in your browser and performs functions such as recognising you when you return to our website and helping our team to understand which sections of the website you find most interesting and useful.
You can adjust all of your cookie settings by navigating the tabs on the left hand side.
Strictly Necessary Cookies
Strictly Necessary Cookie should be enabled at all times so that we can save your preferences for cookie settings.
If you disable this cookie, we will not be able to save your preferences. This means that every time you visit this website you will need to enable or disable cookies again.