রাবিনার অভিযোগ পরিকল্পিত নাটক; আসুন অসুস্থ রাজনীতি না করে জনগনের কল্যানে কাজ করি – অহিদ আহমদ (ভিডিও)

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ নোংরা রাজনীতির উদাহরণ বাংলাদেশের পলিটিশিয়ানদের  দিয়ে দেয়া যায় । কেননা বাংলাদেশের মতো নোংরা পলিটিক্স বিশ্বের অন্য কোন সভ্য দেশে নাই । আর এই বাংলাদেশি বংশদ্ভুতরা যেখানে প্রবেশ করেছে সেখানেই পরিবেশ নোংরা করে তুলেছে এমন ধারনা এখন মানুষের মধ্যে ।  বাংলাদেশী অধ্যুষিত টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে অসুস্থ্য রাজনীতি চর্চা । এই কাইন্সিলে নোংরা রাজনীতি শুরু করে বাংলাদেশিরা লুতফুর রহমানকে অপসারনের মাধ্যমে । কিছু সংখ্যক স্বার্থান্বেষী বাংলাদেশি মিলে লুতফুর রহমানকে শেষ পর্যন্ত রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয় । যুক্তরাজ্যের মধ্যে এটাই একমাত্র উদাহরণ কোন নির্বাহী মেয়রকে অপরাধী বানিয়ে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেয়া হয় ।

এবার শুরু হয়েছে আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে  একই বলয়ের দুই বাংলাদেশী প্রার্থীদের মধ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্লাল্টা অভিযোগ । উদ্দেশ্য একটাই ভোটারদের সহানুভুতি। নির্বাচনে জয়ী হলে সাধারণ মানুষ কি সুবিধা পাবেন ।  অনেকেই বলছেন বারার ভোটাররা প্রতিবার সহানুভুতি ভোট দিবেন না। তারা এবার যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিবেন।
শুক্রবার পূর্বলন্ডনের নিডা হাউজে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলার রাবিনা খান অভিযোগ করেছেন প্রতি সপ্তাহের মতো বৃহস্পতিবার স্যাডওয়েলের গøামিস রেসিডেন্ট হলে এলাকবাসীদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে কার্য পরিচালনা করছিলেন। দিনের মধ্য সময়ে কাউন্সিলার অহিদ আহমদ ও কাউন্সিলার মাহবুব আলম অনুমতি ছাড়াই হলে প্রবেশ করে বাসিন্দাদের সাথে কথা বলতে থাকে। এবং এক পর্যায়ে তিনি মেয়র প্রার্থী রাবিনা খানের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলে ও নানা বিষয়ে তাকে হুমকি দেন।

এদিকে মেয়র প্রার্থী কাউন্সিলার অহিদ আহমদ জানান, আমার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনো কারো সাথে খারাপ ব্যবহার করেছি, এমন প্রমান নেই। বরং রাবিনা খানই সৌজন্য বুধের পরিবর্তনে এই ঘটনাকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছেন। তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ঐ হলে যে রাবিনা খান আছেন তা আমরা জানতাম না। আমাদের কাছে দুইজন বাসিন্দা দেখা করতে ঐখানে যেতে বললে আমরা যাই। আমরা সেখানে গিয়ে দেখি তার সার্জারি চলছে। আমরা হলের বাইরে থাকলেও তিনি সেখান থেকে বের হয়ে এসে আমাদের সাথে উচ্চস্বরে কথা বলেছেন। এটি স্বাক্ষী হচ্ছেন ইংলিশ কমিউনিটির বৃদ্ধ দুই পুরুষ মহিলা কেতি ব্রেইকেন ও হ্যারিওয়াইট।। তারা এ ঘটনায় খুবই ব্যতিত। এদিকে টিভিয়ানের সাথে কেতি ব্রেইকেন ও হ্যারিওয়াইট বলেন, তারা কাউন্সিলার অহিদ আহমদের কাছেই গিয়েছিলেন একটি পিটিশন দেয়ার জন্য। সেখানে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে সেজন্য আমরা মর্মাহত।তিনি বলেন ভোটারদের সিম্প্রিতি আদায়ের লক্ষে অসুস্থ রাজনীতির পথ বেঁচে নেয়াটা কোন অবস্থায় কাম্য নয় । আমাদের ফাইট বর্তমান মেয়র জন বিগসের বিভিন্ন কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে,যা আমাদের বারার জনগণের কল্যানের জন্য আমরা ফাইট করে যাচ্ছি ।কাউন্সিলর অহিদ বলেন, আসুন আমরা অসুস্থ রাজনীতি না করে জনগনের কল্যানে কাজ করি ।


Spread the love

Leave a Reply