৩০ লাখ অভিবাসীকে দেশছাড়া করবেন ট্রাম্প

Spread the love

002627-trupeবাংলা সংলাপ ডেস্কঃ২০ থেকে ৩০ লাখ অভিবাসীকে নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির প্রথম বলি বানাতে চাইছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নির্বাচনে জয়ের পর সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া প্রথম দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, বিপুল সংখ্যার ওই অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেকে বের করে দেবেন তিনি। বিকল্প হিসেবে ওই অভিবাসীদের কারাগারে রাখার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন ট্রাম্প।

সিবিএস টেলিভিশনের ওই সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ক্রিমিনাল রেকর্ডধারী অভিবাসীদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেবেন। যুক্তরাষ্ট্রে অনিবন্ধিত অবিবাসীর সংখ্যা ১ কোটি ১০ লাখের মতোন। এদের একটা বড় অংশ এসেছে মেক্সিকো থেকে। এই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিতে অগ্রাধিকার পেয়েছিলো।

প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে অভিবাসীদের বিরুদ্ধেই প্রথম হুঙ্কার ছাড়লেন তিনি। রবিবারের সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা যেটা করতে যাচ্ছি তা হল যেসব লোকের ক্রিমিনাল রেকর্ড রয়েছে, যারা অপরাধী চক্রের সদস্য, মাদক কারবারি, এদের সংখ্যা প্রচুর, সম্ভবত ২০ লাখ, ৩০ লাখও হতে পারে, আমরা তাদের দেশ থেকে বের করে দেব অথবা কারারুদ্ধ করব।’

ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতির আরেকটি অগ্রাধিকার ছিল মেক্সিকোতে দেওয়াল নির্মাণ। সিবিএস টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল তৈরির পরিকল্পনা থেকে তিনি আংশিক সরে যেতে পারেন। ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ স্লোগানকে নির্বাচনি প্রচারণার অস্ত্র করেছিলেন ট্রাম্প।

তার এই মহান আমেরিকা দিয়ে তিনি সেই কলম্বাসের আবিষ্কৃত আমেরিকাকে বুঝিয়ে থাকেন; যা শ্বেতাঙ্গ আাধিপত্যেরই নামান্তর। কালজয়ী ঐতিহাসিক হাওয়ার্ড জিন তার ‘পিপলস হিস্টরি অব আমেরিকা’য় লিখেছেন কিভাবে আদিবাসীদের ওপর হত্যা-নির্যাতন চালিয়ে, তাদের সম্পদ লুণ্ঠন করে এই কথিত আমেরিকায় শ্বেতাঙ্গ আধিপত্য কায়েম করা হয়েছিল আর তার নাম দেওয়া হয়েছিল আমেরিকা আবিষ্কার। সেই শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যের রাজনীতির বিপরীতে বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠী ও শ্রেণি-পেশার মানুষকে স্থাপন করেছেন ট্রাম্প।

তাদের মধ্যকার বিভক্তিকে সামনে আনতে চেয়েছেন। মেক্সিকোর সীমান্ত নয় কেবল, মানুষের মনের মধ্যে থাকা বিভক্তির দেয়ালকে উসকে দিতে চেয়েছেন তিনি। আর তাতে সফল হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইলেক্টোরাল ভোট নিয়ে জয় নিশ্চিত করেছেন ট্রাম্প।

তবে নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের খবর প্রকাশের পরপরই বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে। বিভিন্ন স্থানে ‘নট মাই প্রেসিডেন্ট’, ‘টাইম টু রিভল্ট’, ‘ফ্যাসিস্ট ট্রাম্প’, ‘রেজিস্ট রেসিজম’, ‘নো ট্রাম্প’ ইত্যাদি লেখা প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভকারীরা প্রতিবাদ জানিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে মানুষজন বিক্ষোভে নেমেছেন, যা সাম্প্রতিক মার্কিন ইতিহাসে নজিরবিহীন।


Spread the love

Leave a Reply