দেশব্যাপী পুলিশের বিশেষ অভিযান : প্রথম দিনেই আটক সহস্ত্রাধীক

Spread the love

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সাম্প্রতিককালে দেশে বেশকিছু পরিকল্পিত গুপ্তহত্যাকান্ডের প্রেক্ষাপটে পুলিশ সদর দফতর থেকে ঘোষিত জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানে শুক্রবার সহস্ত্রাধীক জঙ্গি ও সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়েছে। তবে, আটককৃতদের মধ্যে চিহ্নিত কোনো জঙ্গি নেতা বা সন্ত্রাসীর নাম পাওয়া যায়নি। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শনিবার সকালে আগের ২৪ ঘণ্টার অভিযানের ফলাফল জানানো হবে। যদিও বিএনপি-জামায়াতের অভিযোগ- অভিযানের নাম করে শুধু তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের বেছে বেছে আটক করছে পুলিশ।

চট্টগ্রামে পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রীকে হত্যা ও ও সাম্প্রতিক ঘটনাবলির ওপর করণীয় নির্ধারণ সম্পর্কে পুলিশ সদর দফতরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বৈঠক থেকে গত বৃহস্পতিবার জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযানের সিদ্ধান্ত হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক দেশব্যাপী এ অভিযানের ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তিনি জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবিরোধী প্রচার জোরদার করারও নির্দেশ দেন। অভিযানের প্রথম দিনে দেশের চট্টগ্রাম, খুলনা, কিশোরগঞ্জ, মাগুরা, রাজশাহী, যশোর, বাগেরহাট, গাইবান্ধা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, পাবনা, বরিশাল, দিনাজপুর, রংপুরসহ বিভিন্নাঞ্চল থেকে জঙ্গি সন্ত্রাসী আটকের খবর পাওয়া গেছে।আরও ছয়দিন এই অভিযান চলবে।

পুলিশ সদর দফতরের ডিআইজি (মিডিয়া) শহিদুর রহমান জানান, দেশব্যাপী জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী সাঁড়াশি অভিযান সাত দিন ধরে চলবে। অভিযানে আটক ব্যক্তিদের অপরাধের ধরন ও অপরাধমাত্রা যাচাই করা হচ্ছে। এজন্য এখনই আটক বা গ্রেফতারের পূর্ণাঙ্গ ফলাফল পাওয়া সম্ভব নয়। তবে পুলিশ সদর দফতরের অপর এক কর্মকর্তা জানান, অভিযানের প্রথম দিন সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘণ্টায় প্রাথমিক অভিযোগের ভিত্তিতে এক হাজারের বেশি আটক করা হয়েছে। তাদের অপরাধের ধরন যাচাই করে নির্দোষদের ছেড়ে দেওয়া হবে।

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মাসুদুর রহমান জানিয়েছেন, রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে সাঁড়াশি অভিযানে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৭৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

ঢাকার বাইরে কুষ্টিয়ায় পুলিশের বিশেষ অভিযানে জামায়াত-শিবিরের পাঁচ কর্মীসহ বিভিন্ন মামলায় ৬৭ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সাতক্ষীরায় বিশেষ অভিযানে নাশকতার আশঙ্কায় জামায়াতের এক কর্মীসহ ৩৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রংপুরে নাশকতার মামলায় চার্জশিটভুক্ত ৯০ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়াও বিশেষ অভিযানকালে নাটোরে ২৭ জন, মেহেরপুরে ১০ জন এবং ঝিনাইদহ থেকে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

তবে, আটকের বিরোধিতা করে বিএনপি ইতিমধ্যে পুলিশের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনেছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেছেন, সাঁড়াশি অভিযানের নাম বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। তাদের হয়রানি করছে পুলিশ। নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ তল্লাশি করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।


Spread the love

Leave a Reply