ফেসবুক-টুইটারে ‘ফেক আইডি’ বন্ধে ব্রিটিশ আইনে নতুন সংশোধনী

Spread the love

bs-fbবাংলা সংলাপ ডেস্ক

মিথ্যা তথ্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোলা ‘ফেক আইডি’ বন্ধে সাইবার আইনে সংশোধনী আনতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি খসড়া প্রকাশ করেছে ক্রাউন প্রসিকিউসন সার্ভিস। এতে বলা হয়েছে, অন্যকে হেনস্থা করতে কিংবা প্রতিশোধ  নেবার লক্ষ্যে যারা ফেসবুক, টুইটারে ভূয়া একাউন্ট খুলবেন তাদের অপরাধী হিসেবে গণ্য করা হবে।

খসড়ায় আরও বলা হয়, কাউকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে অনলাইনে মিথ্যা তথ্য প্রচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাবলিক প্রসিকিউসনে পরিচালক অ্যালিসর স্যন্ডারস বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার বৃদ্ধির সাথে সাথে, তা ব্যবহার করে অপরাধ সংগঠনের ঘটনাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। অনলাইনে সংগঠিত অপরাধগুলো কখনো কখনো খুবই চাঞ্চল্যকর এবং অভিনব। তাই এটা প্রতিরোধে বিরাজমান আইনেরও সংশোধন জরুরী।

অ্যালিসন আরও বলেন, সামাজিক মাধ্যমে হেনস্থার শিকার ভুক্তভোগীরা প্রায়শই মানষিকভাবে ভেঙে পড়েন। এসময় অনলাইন অপরাধীদের কাপুরুষ হিসেবে আখ্যায়িত করেন অ্যালিসন।

এমনকি অনেক সময় সাবেক প্রেমিক-প্রেমিকার ‘রিভেঞ্জ পর্ন’ প্রকাশের জন্য বেছে নেয়া হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। আর এসবই করা হচ্ছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে খোলা ভূয়া আইডি’র মাধ্যমে। এমনও হয়েছে, কোনও একটি মেয়ের ছবি দিয়ে ভিন্ন নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট চালাচ্ছে একটি ছেলে। আবার উল্টোটা হওয়ারও উদাহরণ আছে বহু।

সংশোধীত খসড়ায় এসব অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। জানা গেছে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে ‘ফেক অ্যাকাউন্ট’ বানিয়ে তা ব্যবহার করলে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবেই গণ্য হবে। ফেক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারকারী ধরা পড়লে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে সরকার।  আর শাস্তি হতে পারে আর্থিক জরিমানা। এমনকি হতে পারে জেলও।

ব্রিটেনের সরকার এমন এক পরিষেবা চালু করতে চলেছে, যেখানে সন্দেহজনক প্রোফাইলের ওপর নজরদারি করবে প্রশাসন। আর তা হবে অভিযোগের ভিত্তিতে।

আপাতত ছয় মাসের পর্যালোচনার জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে এ খসড়া নীতিমালা। ধারণা করা হচ্ছে বছরের শেষভাগে কার্যকর হবে আইনের এ নতুন সংশোধনী।


Spread the love

Leave a Reply