ব্যারিস্টার নাজির লন্ডন কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির’র এলোমনাই অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত

Spread the love

1c322a7e-0642-4138-a343-f511ddd91451বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ
বিশিষ্ট আইনজীবী ও লেখক ব্যারিস্টার নাজির আহমদকে সম্প্রতি বাংলাদেশের জন্য লন্ডন ইউনিভার্সিটির কুইন মেরি’র এলোমনাই অ্যাম্বাসেডর হিশেবে নিযুক্ত করা হয়েছে। এলোমনাই অ্যাম্বাসেডর হিশেবে ব্যারিস্টার নাজির আহমদ লন্ডনের অন্যতম বৃহৎ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্টান এবং যুক্তরাজ্যের অন্যতম লিডিং বিশ্ববিদ্যালয় লন্ডন ইউনিভার্সিটির কুইন মেরিকে বাংলাদেশে প্রতিনিধিত্ব করবেন
ব্রিটেনে বাংলাদেশী কমিউনিটিতে অত্যন্ত সুপরিচিত লেখক, বাংলা সংলাপের ইংলিশ ও বাংলা সংস্করনের  নিয়মিত কলামিষ্ট, বিশ্লেষক ও আইনজীবী ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বাংলাদেশ ও বিলেতে লেখাপড়া করেছেন। তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটির কুইন মেরি থেকে এলএলবি (অনার্স) এবং একই  ইউনিভার্সিটি থেকে এলএলএম সম্পন্ন করেন। ১৯৯৯ সালে লিংকন’স ইন থেকে ব্যারিস্টার হন। পরবর্তিতে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের সুপ্রিম কোর্ট-এর সলিসিটার হিশেবেও তালিকাভুক্ত হন। বর্তমানে তিনি ঢাকা বার ও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার এসোসিয়েশনের মেম্বার। ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বিশ্বখ্যাত সালিশী প্রতিষ্ঠান ‘দ্য চার্টার্ড ইনস্টিটিউট অফ আরবিটট্রেটর্স’-এর একজন ফেলো। তাঁর ম্যানেজমেন্ট-এর উপর দক্ষতা, যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা আছে। তিনি অতীতে বিভিন্ন সংগঠনের উচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ‘দ্য চার্টার্ড ম্যানেজমেন্ট ইনস্টিটিউট’ তাঁকে ফেলোশিপ তথা এফসিএমআই প্রদান করে। ‘দ্য রয়াল সোসাইটি অফ পাবলিক হেলথ’ থেকেও তিনি এফআরএসপিএইচ লাভ করেন।  ব্যারিস্টার নাজির আহমদকে তাঁর সৃজনশীল সাহিত্য কর্মের জন্য ‘দ্য রয়াল সোসাইটি অফ আর্টস’ তাঁকে এফআরএসএ প্রদান করে।
নিয়োগের পর এক প্রতিক্রিয়ায় ব্যারিস্টার নাজির আহমদ বলেন “সংবাদ শুনে আমি খুবই আনন্দিত হয়েছি। লন্ডন ইউনিভার্সিটির কুইন মেরির সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আমার সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এই খ্যাতিমান প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশে প্রতিনিধিত্ব করতে।”
তিনি প্রতিক্রিয়ায় আরো বলেন “লন্ডন ইউনিভার্সিটির কুইন মেরি হচ্ছে লন্ডনের অন্যতম বৃহৎ উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্টান যেখানে ১৭,০০০ এর উপরে ছাত্র/ছাত্রী পড়াশুনা করে এবং স্টাফ-এর সংখ্যা ৪০০ এর উপরে। প্রাক্তন ছাত্র ও স্টাফ থেকে ইতিমধ্যে পাঁচজন নোভেল পুরস্কার পেয়েছেন।  কুইন মেরির লাইব্রেরি লন্ডনের মধ্যে অন্যতম বৃহত। এটির “ল স্কুল” খুবই সমৃদ্ধ এবং ‘কমার্শিয়াল ল ডিপার্টমেন্ট’ ইউরোপের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ট। আমার সৌভাগ্য যে চারটি বছর এই খ্যাতিমান প্রতিষ্টানে কাটিয়েছি। কুইন মেরিতে পড়াকালীন সময়ে শুভাগ্যক্রমে পৃথিবীর  নেতৃস্থানীয় একাডেমিকদের সংস্পর্শে আসার আমার সুযোগ হয়েছে।  তাঁদের কাছ থেকে শিখেছি কিভাবে আইন পড়তে হয় ও বিশ্লেষণ করতে হয় এবং আইনী বিষয় নিয়ে লিখতে হয়।  নেতৃস্থানীয় একাডেমিকদের মধ্যে কয়েকজন হলেন: প্রফেসর রজার কটট্রল, প্রফেসর জেরাল্ডিন  ভ্যান বুইরেন কিউসি (বর্তমানে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র ভিসিটিং ফেলো) যিনি জাতিসংঘের শিশু অধিকার কনভেনশন ও রুলস ড্রাফট করেছেন, প্রফেসর জেনেভরা রিচার্ডসন (যিনি অক্সফোর্ড-এর “সেন্টারে ফর সোসিও-লিগাল স্টাডিজ”-এর প্রফেসর ছিলেন এবং বর্তমানে লন্ডন ইউনিভার্সিটি’র কিংস’এর প্রফেসর), প্রফেসর হিলারী বার্নেট এবং প্রফেসর কাথেরিন ও’ডনভান। তাদের বইগুলো (যেমন: তখনকার ডিন প্রফেসর রজার কটট্রল – এর “পলিটিক্স অফ জুরিসপ্রুডেন্স,” আমার পার্সোনাল টিউটর প্রফেসর হিলারী বার্নেটের “কনস্টিটিউশনাল এন্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ল”) বিশ্বের নেতৃস্থানীয় নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পাঠ্যবই হিশেবে পড়ানো হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজনকে জাতিসংঘ ও ইউকে সরকার এক্সপার্ট হিশেবে নিয়োগ দিয়েছে বিভিন্ন ইসুতে রিপোর্ট করার জন্য। কুইন মেরিতে কাঠানো সময় ছিল আমার জীবনের শ্রেষ্ট সময়। আমি  কুইন মেরির জন্য গর্বিত এবং ঐসব লিডিং একাডেমিক এক্সপার্টদের কাছে আমি ঋণী।”

Spread the love

Leave a Reply