নব্য রাজনীতিক এর চাল চিত্র

Spread the love

আরিফ মাহফুজ:

‘ঘুমের মধ্যে ফোন আসল -প্রায় ধমকের সুরে -আমার নিউজটি কি দিছ ? আরে ত্রাণ যাই হউক নিজউটা যেন বড় হয়-পারলে আরও -কয়েকটা পত্রিকায় দেও’ একজন নব্য রাজনীতিকের আমার সাথে ফোনে কথা…..রাজনীতি প্রতিটি দেশের নাগিরেক গণতান্ত্রিক অধিকার। যে কোন শ্রেনীর মানুষেরই রাজনীতি করার অধিকার আছে শতভাগ। আগেকার দিনে রাজনীতি করত শিক্ষিত আর মেধাবী লোকেরা কিন্তুু যুগের পরিবর্তনের কারনে শিক্ষিত আর মেধাবী লোকজনের রাজনীতি করা কমে গিয়ে ক্রমশঃ উল্টো চিত্রে চিত্রায়ন হয়ে গেছে আমাদের সমাজ দর্পনে। শিক্ষিত মেধাবীরা অধিকাংশই রাজনীতিতে আসার ০% আশাও ব্যাক্ত করেন না। অনেকটাই তাঁদের কাছে ঘুণার ব্যাপার রাজনীতি। কিছু দিন আগে একটি জার্নালে পড়েছিলাম বাংলাদেশের তরুনদের ৮০ভাগই রাজনীতিতে আসতে অনিহা। তরুন সমাাজরা রাজনীতিকে ভাল চোখে দেখে না। তবে কিছু সংখ্যাক শিক্ষিত মেধবীরা রাজনীতিতে আসছেন এবং অনে ভাল করছেন। কিন্তুু একটা পর্যায়ে এসে তাঁরা ব্যাক করছেন। দেশের দুর্র্নীতির প্রধান কারনই হচ্ছে রাজনীতি অশিক্ষিত লোকজনের দখলে থাকার কারনে। কারন পারিপার্শি¦ক অবস্থা যদি ভাল না হয় তাহলে হয়ত তাল মিলিয়ে চলতে হবে না হয় নিজেকে গুটিয়ে নিতে হবে। বর্তমানে ৪ প্রকারের মানুষ রাজনীতিতে দেখা যায় ১. প্রকৃত রাজনীতিক : অর্থাৎ যারা ছাত্র অবস্থা থেকে রাজনীতি করতে করতে জীবন সর্ব সময়ই রাজনীতিতে জড়িত। ২. পারিবারিক সূত্রে রাজনীতিক। ৩. চামচা বা তোষামোদকারি রাজনীতিকঃ ।( এরা সবসময়ই রাজনীতিতে থাকেন-বিশেষকরে প্রকৃত রাজনৈতিক নেতার পিছনে বুঝে বা না বুঝে সবসময়ই রাজনীতিতে আছেন। এঁরা আবার মন্ত্রী এমপি বা ক্ষমতাধর হবার স্বপ্ন দেখেন না।) ৪.নব্য রাজনীতিকঃ এই রাজনীতিকরা সবচেয়ে সমস্যায় আবৃত এঁদের কারনে প্রকৃত রাজনীতিকরা সব সময় সমস্যায থাকেন। এঁরা কারা ?-এঁরা হচ্ছেন সমাজের একশ্রেনীর মানুষ যাঁরা হযত অর্ধশিক্ষিত বা একেবারেই অশিক্ষিত পারিবারিক গ্রাউন্ডও থেমন একটা ভাল না। জীবনে বিভিন্নভাবে অর্থ রোজগারের ধান্দায় নিয়োজিত থাকেন। অনেক অর্থের মালিক হন। কিন্তুু একপর্যায়ে দেখেন যে নিজের ঘরের বউ ছাড়া কেউ চিনেনা। অর্থাৎ সমাজে উনার কোন মূল্যায়ন নাই । তখন নিজেকে খুব ছোট মনে করেন আর হীন মন্যতা ভোগেন। তখন শূরু করেন টাকার ব্যবহার -সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ডোনেশন দিয়ে দিয়ে সমাজে বিকশিত হওয়ার ব্যার্থ চেষ্টা শুরু করেন। সমাজের কিছু অসাধু মানুষ এই সুযোগটি গ্রহন করেন এবং এই সমস্থ অপদার্থ মানুষগুলোকে অর্থের বিনিময়ে বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্টান,ক্লাব-সমিতিতে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রন জানাতে শুরু করেন । এতে সে বুঝতেই পারে না তাঁকে এখানে মুরগী হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁর এই জ্ঞান নেই যে বুঝবে তাঁর দ্বারা সমাজের উঁচু জায়গায় যাওয়া সম্ভব না। এই অর্থের বিনিময়ে সমাজে সিঁড়ি খোঁজতে গিয়ে সে একসময় অসাধূ রাজনৈকি নেতাদের হাত ধরে অর্থ ডোনেশন করে যে কোন একটি দলে পদার্পণ করে। আস্তে আস্তে সে সবকিছুতেই শামিল হয়। অসাধুৃ রাজনৈতিক, হলুদ মিডিয়া, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুলো অর্থ গ্রহন করে তাঁকে ব্যাবহার করতেই থাকে।এক সময় এই বোকা লোকটির মনেও আশার উদয় হয় এমপি মন্ত্রী হবার। কিন্তুু তাকে এই জ্ঞানবুদ্ধি বা শিক্ষা আল্লাহ দেন নাই যে সে বুঝবে রাজনীতিতে সে ব্যবহার হচ্ছে। সে যে মেধাহীন। কখনও যে এমপি মন্ত্রী হতে পারবে না। তাঁর কারনে যে সত্যিকারের ত্যাগী রাজনীতিকদের ক্ষতি হচ্ছে সেটি বুঝারও ক্ষমতা তাঁর একেবারেই নেই। পাঠক এঁদের কারনে অতিষ্ঠ সমাজের ভাল সৎ রাজনীতিকরা -নিেেজকে আড়াল করে ঘরে চুপ করে বসে আছেন অনেকেই কারন তাঁরা বুঝেন নিজের আতœ সম্মান। এই সমস্ত মেধাবীরা আজ রাজনৈতিক দলে উপেক্ষিত। শিক্ষা নাই দিক্ষা নাই -আদব নাই কায়দা নাই -এই ধরনের অনেক লোকই বিভিন্ন রাজনৈতি দলকে ঘিরে রেখেছে। যাদের কাছ থেকে সমাজের বা দেশের কিছুই পাবার নাই। এমনকি এঁরা জানেনা সে তাঁর নিজেকে দেবার মতই কিছু নেই তাঁর কাছে। এই জিরো মার্কা লোকেরা কিছু টাকার বিনিময়ে ব্যবহার করতে চায় মেধাবী রাজনীতিবিদদের, ব্যবহার করতে চায় সমাজের মেরুদন্ড মিডিয়ার সাংবাদিকদের, ব্যবহার করতে চায় শিক্ষক-চাকুরীজীবিদের। এঁরা ধমক দিতে চায় শিক্ষার কুড়ি ফোটানো শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের, এরা ধমক দিতে চায় কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা চাকুরী জীবিদের, এরা ধমক দিতে চায় সত্যের প্রতীক সাংবাদিকদের। দুর্নীতির জাল ত এরাই বুনেছে সমাজে। আর এই জালবুনতে সাহায্য করছে আমাদের সমাজের কিছু অসাধু রাজনৈতিকরা যাদের মেধা শিক্ষা দুটিই আছে -কিন্তুু নিজের চরিত্রকে বিক্রি করে দিয়েছে অর্থের কাছে আর প্রতিনিয়ত সৃষ্টি করছে এই নব্য রাজনীতিকদের। যাদের কারনে সমাজকে গ্রাস করছে এক অন্ধকার ময় বিভীষিকা। এঁদের কবল থেকে বাচাঁর এখনো সময় আছে নইলে অর্জিত স্বাধীন মানচিত্রকে উই পোকার মত আস্তে আস্তে খেয়ে শেষ করে দেব টেরও পাওয়া যাবেনা। যেহেতু গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাজনীতি করা সবার নাগরিক অধিকার সেহেতু কাউকে রাজনীতি করতে বাঁধা দেয়ার আইন নাই তবে প্রত্যেক রাজনীতিক দলের একটাই করা উচিত দয়া করে দলের নেতৃত্বের জায়গাগুলোতে উপযুক্ত শিক্ষিত ত্যাগী রাজনীতিকদে বসান। তাতেই বাঁচবে রাজনীতি, তাতেই বাঁচবে দেশ। লেখক ঃ আরিফ মাহফুজ,যুক্তরাজ্য থেকে।


Spread the love

Leave a Reply