কনসারভেটিভদের বিপুল জয়

Spread the love

বাংলা সংলাপ রিপোর্টঃ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দল কনজারভেটিভ ৩৬৪ আসন নিয়ে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। ঐতিহাসিক এই জয়ের পর কনসারভেটিভ নেতা বরিস জনসন বলেছেন, ভোটারদের আস্থার প্রতিদান দিতে তিনি রাত-দিন কাজ করবেন।
নির্বাচনে বিপুল বিজয়ের পর লন্ডনে এক বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এই জয়ের মাধ্যমে তিনি ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনবেন।
এখানে কোন ‘যদি, কিন্তু’ নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।
যারা প্রথমবারের মতো কনসারভেটিভকে ভোট দিয়েছে তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে মি. জনসন বলেন তারা পরিবর্তন চায়।
মি. জনসন বলেন, “মানুষ পরিবর্তন চায়। তাদের হতাশ করা উচিত নয়, হতাশ করবো না।”

সবচেয়ে বেশি নারী প্রার্থী জয়লাভ করেছে এ নির্বাচনে:
ব্রিটেনের পার্লামেন্ট নির্বাচনে এবার সবচেয়ে বেশি নারী প্রার্থী জয়লাভ করেছেন। এর মধ্যে বিরোধী লেবার পার্টি থেকে ১০৪ জন নারী প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
এদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নারী প্রার্থী রয়েছেন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভ থেকে ৮৬ জন নারী প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
৪০ বছর আগে অর্থাৎ ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে ব্রিটেনে একজন নারী প্রার্থীও জয়লাভ করেননি। কিন্তু ২০১৯ সালে এ সংখ্যা ২০০’র বেশি হয়েছে।

বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প:
নির্বাচনে জয়ের জন্য বরিস জনসনকে অভিনন্দন জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প টুইট করেছেন। মি: ট্রাম্প লিখেছেন, ব্রেক্সিটের পর ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্র স্বাধীনভাবে নতুন একটি বড় ধরণের বাণিজ্য করতে পারবে। মি: ট্রাম্প উল্লেখ করেন, এই চুক্তি অনেক বড় এবং আকর্ষণীয় হবোর সম্ভাবনা রয়েছে।

বিপুল জয় নিয়ে ফিরে আসলো কনসারভেটিভরা:
ব্রিটেনের সাধারন নির্বাচনে ক্ষমতাসীন কনসারভেটিভরা আবারো জয়লাভ করেছে। সরকার গঠন করার জন্য ৩২৬টি আসনের প্রয়োজন হলেও বরিস জনসনের নেতৃত্বে কনসারভেটিভরা তার চেয়ে অনেক বেশি আসন পেয়েছে।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবার পর বরিস জনসন বলেন, আগামী মাসে ব্রিটেনকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনার ম্যান্ডেট দেবে এই জয়।
বিবিসি পরিচালিত বুথ ফেরত জরিপে বলা হয়েছিল যে কনসারভেটিভরা ৩৬৪ আসনে জয়লাভ করবে। অন্যদিকে লেবার পার্টি পােব ২০৩টি আসন।
এর অর্থ হচ্ছে, ১৯৮৭ সালে মার্গারেট থ্যাচারের নেতৃত্বে নির্বাচনের পর থেকে এটাই হবে কনসারভেটিভদের সবচেয়ে বড় জয়। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, এই জয়ের ফলে বরিস জনসনের জন্য ব্রেক্সিট বাস্তবায়ন করা সময়ের ব্যাপারে মাত্র।
অন্যদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে লেবার পার্টি নির্বাচনে এতোটা খারাপ কখনো করেনি।

টেরিজা মে বলেন, ২০২০ সালে ইইউ’র সাথে বাণিজ্য চুক্তি করতে পারবে বরিস জনসন:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে বলেছেন, নির্বাচনে কনসারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তিনি বেশ খুশি। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে ব্রিটেনের মানুষ একটি পরিষ্কার প্রশ্ন ছিল। সেটি হচ্ছে, তারা ব্রেক্সিট চায় কিনা। তারা এটাও বুঝতে পেরেছে যে কনসারভেটিভ পার্টি জয়লাভ করলে ব্রেক্সিট হবে।
“ব্রেক্সিট নিয়ে পার্লামেন্টে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে এই নির্বাচনের মাধ্যমে সেটি কেটে যাবে। ব্রেক্সিট হবে এবং এগিয়ে যাবে।”

নিজ আসনে জয়লাভ করেছেন বরিস জনসন:
কনসারভেটিভ পার্টির নেতা বরিস জনসন তাঁর অক্সব্রিজ আসনে জয়লাভ করেছেন। তিনি পেয়েছেন ২৫৩৫১ ভোট এবং লেবার পার্টির প্রার্থী আলী মিলানি পেয়েছেন ১৮০০০ ভোট।

আগামী নির্বাচনে দলের নেতৃত্বে থাকবেন না জেরেমি করবিন:
লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেন, আগামী নির্বাচনে তিনি দলের নেতৃত্ব দেবেন না। তবে তিনি এখন পদত্যাগ করছেন না। আরো কিছু সময় দলের নেতৃত্বে থাকবেন আলোচনা চালিয়ে যাবার জন্য।তিনি বলেন, লেবার পার্টির জন্য এটি হতাশার রাত। তিনি তাঁর ভোটার, পরিবার এবং বন্ধুদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন সহযোগিতার জন্য।মি: করবিন তাঁর আসনে জয়লাভ করেছেন।


Spread the love

Leave a Reply