পদত্যাগের ইস্যুতে ‘ব্যাকবেঞ্চার’দের সঙ্গে মে’র সাক্ষাৎ

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃনিজের পদত্যাগের বিষয়ে আলোচনা করতে পার্লামেন্টের প্রভাবশালী ‘ব্যাকবেঞ্চার’ টরি সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। স্থানীয় গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, এটা কেবলই একটা নিয়মমাফিক সাক্ষাৎ। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।

গত মার্চ মাসে এক ঘোষণায় মে জানান, পার্লামেন্টে যদি তার ব্রেক্সিট বিষয়ক প্রস্তাবিত চুক্তি পাস হয় তাহলে তিনি পদত্যাগ করবেন। তবে চুক্তি পাসের কতদিনের মধ্যে ওই পদত্যাগ হবে, সে বিষয়ে সপষ্ট করে কিছু জানাননি মে। সমপ্রতি ব্যাকবেঞ্চারদের একটি কমিটি থেকে তাকে তার পদত্যাগের তারিখের বিষয় আরো নির্দিষ্ট করে জানানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বৃটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউস অব কমন্সের সদস্য হয়েও যেসব আইনপ্রণেতাদের কোনো সরকারি কার্যালয় থাকে না বা পার্লামেন্টের সামনের সারির দিকে বসেন না তারা সাধারণত ‘ব্যাকবেঞ্চার’ নামে পরিচিত। নিম্নকক্ষের সকল ব্যাকবেঞ্চারদের নিয়ে গঠিত ১৯২২ কমিটি।

নেতৃত্ব সমপর্কিত সকল ইস্যু নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে কমিটিটি। সমপ্রতি ওই কমিটি থেকে তেরেসা মে’কে নিজের পদত্যাগের তারিখ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে। বর্তমানে ওই কমিটির চেয়ারম্যান হচ্ছেন স্যার গ্রাহাম ব্র্যাডি। তার সঙ্গে সমপ্রতি দেখা করার কথা রয়েছে মে’র।
ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্যর্থতার কারণে মে’র পদত্যাগের দাবি জোরালো হচ্ছে। তার নিজ দলের সদস্যরা এক ঘোষণায় জানান, আগামী ১৫ই জুন তার বিরুদ্ধে আস্থা ভোটের আয়োজন করবেন তারা।

প্রাথমিকভাবে গত ২৯শে মার্চ কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া। তবে পার্লামেন্টে মে’র প্রস্তাবিত চুক্তি পাস না হওয়ায় পরবর্তীতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে এক আলোচনায় ওই সময়সীমা পিছিয়ে চলতি বছরের ৩১শে অক্টোবর করা হয়। কিন্তু এখনো পার্লামেন্টে পাস হওয়ার মতো কোনো চুক্তি তৈরি করতে পারেননি তিনি। এ বিষয়ে বিরোধী দল লেবার পার্টির সঙ্গে এক হয়ে কাজ করতে আলোচনা চলছে। তবে এখনো কোনো সিদ্ধান্তে আসতে পারেনি দল দু’টি। এর মধ্যে স্থানীয় নির্বাচনে এক হাজারেরও বেশি আসন হারিয়েছে মে’র কনজারভেটিভ দল ও এর সহযোগী দলগুলো। মে’র দাবি, ব্রেক্সিট নিয়ে জনগণের মধ্যে সৃষ্ট হতাশাই এর কারণ।

নির্বাচনে হারার পর থেকে মে’র পদত্যাগের দাবি আরো জোরালো হয়। সোমবার (৬ই মে) ১৯২২ কমিটির কোষাধ্যক্ষ স্যার জিওফ্রে ক্লিফটন-ব্রাউন জানান, মে’র উচিত তার পদত্যাগের বিষয়ে একটি সুসপষ্ট পরিকল্পনার ঘোষণা দেয়া। এ ছাড়া, ইউরোপ-বিরোধী জ্যেষ্ঠ নেতা স্যার বিল ক্যাশ বলেন, মে’র পদত্যাগের সময় হয়ে এসেছে। তার একটি তারিখ ঘোষণা দেয়া উচিত। সেটা যত দ্রুত হয় ততই ভালো। কিন্তু সেটা হতে হবে একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতিতে।


Spread the love

Leave a Reply