প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন বরিস জনসন

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃপ্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছেন বৃটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন (৫৪)। তার থেকে ২৩ বছরের ছোট প্রেমিকা ক্যারি সায়মন্ডকে (৩০) যেকোনো সময় বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসতে পারেন চার সন্তানের জনক জনসন। দীর্ঘদিন ধরে তাদের প্রেমের কাহিনী বৃটিশ মিডিয়ায় ঘুরছে। এর কারণ, বরিস জনসন যদি সায়মন্ডকে বিয়ে করেন তাহলে তিনি হবেন তার তৃতীয় স্ত্রী। শুধু তাই নয়। বরিস জনসনের বড় মেয়ে লরার চেয়ে মাত্র ৫ বছরের বড় হবেন তার এই ভবিষ্যত সৎমা। এ নিয়ে বৃটিশ মিডিয়ায় মাঝে মাঝেই রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে। এবার অনলাইন ডেইলি মিরর লিখেছে, বরিস জনসনের এই প্রেমিকা মেরুদ-ের একজন ডাক্তার।তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়ার পরিকল্পনা করছেন জনসন। একজন বন্ধুকে উদ্ধৃত করে এ খবর দেয়া হয়েছে। এতে আরো বলা হয়েছে, ক্যারি সায়মন্ডের পাশাপাশি সারাক্ষণ পোষা প্রাণির মতো ঘুর ঘুর করেন জনসন।

ওদিকে জনসনের ঘরে দ্বিতীয় স্ত্রী মেরিনা। তার সঙ্গে তার ২৫ বছরের দাম্পত্য। তাদের বিচ্ছেদের বিষয়ে আবেদন করা হয়েছে। এখনও তা চূড়ান্ত হয় নি। মধ্যপথে রয়েছে। এ অবস্থায় ক্যারি সায়মন্ডকে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে কাছে পাওয়ার পরিকল্পনা করছেন জনসন। এ বিষয়ে তিনি লেজেগোবরে হয় এমন অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে বদ্ধ পরিকর।
চার সন্তানের জনক বরিস জনসনের এক বন্ধু বলেছেন, তিনি এনগেজটা করে ফেলতে চাইছেন। কারণ, তিনি ক্যারি সায়মন্ডের প্রতি পুরোপুরি অনুগত। তার প্রেমে মজেছেন। ওই বন্ধু বলেছেন, এমন ঘটনা দেখতে খুবই চমৎকার। বরিস জনসনের আরেকজন ঘনিষ্ঠ মিত্র বলেছেন, ক্যারি সায়মন্ড তো বরিসের একেবারে পারফেক্ট গার্লফ্রেন্ড।
ক্যারি সায়মন্ড ব্লুমবাগের একজন অর্থনৈতিক উপদেষ্টা। তিনি এখনও পর্যন্ত বরিস জনসনের কোনো সন্তানের মুখোমুখি হন নি। তবে গ্রিসের একটি ভিলায় নতুন বছর একসঙ্গে উদযাপন করেছেন বরিস জনসন ও ক্যারি সায়মন্ড। সেখানে তাদেরকে উপভোগ করতে দেখা গেছে সুস্বাদু সব স্থানীয় খাবার। সেখানে তারা অবস্থান করছিলেন বরিস জনসনের পিতা স্ট্যানলির অবকাশ যাপন কেন্দ্র ভিলা আইরিনে। গত গ্রীষ্মে স্ত্রী মেরিনাকে বাদে চার সন্তানকে নিয়ে গিয়েছিলেন জনসন।
গত মার্চ থেকে আলাদা থাকলেও সেপ্টেম্বরে নিজেদের মধ্যে বিচ্ছেদের ঘোষণা দেন বরিস জনসন ও মেরিনা। ওই সময় এক বিবৃতিতে জনসন বলেছিলেন, তারা কিছুদিন ধরে আলাদা সময় কাটাচ্ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের পর কয়েক মাস আগে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য আলাদা হওয়া উচিত। ‘তাই আমরা নিজেরাই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছি এবং তা প্রক্রিয়াধীন আছে। বন্ধু হিসেবে আমরা সামনের দিনগুলোতে আমাদের চার সন্তানকে সাপোর্ট দিয়ে যাবো।


Spread the love

Leave a Reply