যুক্তরাজ্যে অ্যাসাঞ্জের এক বছরের কারাদণ্ড

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃযুক্তরাজ্যে জামিনের শর্ত ভঙ্গে দোষী সাব্যস্ত উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দিয়েছে লন্ডনের একটি আদালত। এর আগে অভিযোগের শুনানিতে সাউথার্ক ক্রাউন আদালতের বিচারক জানিয়েছিলেন ৪৭ বছর বয়সী অ্যাসাঞ্জ জামিন শর্ত ভঙ্গ করে সর্বোচ্চ শাস্তির যোগ্য অপরাধ করেছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দণ্ড ঘোষণার আগে অ্যাসাঞ্জের লেখা একটি চিঠি আদালতে পড়ে শোনানো হয়।যৌন হয়রানির দুই অভিযোগে ২০১০ সালের ২০ আগস্ট সুইডেন অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দুইটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে একদিনের মাথায় প্রত্যাহার করে নেয়। তবে সে দেশে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে ২০১০ সালের নভেম্বরে আবারও অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পরোয়ানা জারি করা হয়। ২০১০ এর ডিসেম্বরে তিনি যুক্তরাজ্যের আদালতে আত্মসমর্পণের ১০ দিনের মাথায় জামিন লাভ করেন। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবীরা আদালতে নতুন পরোয়ানাকে অবৈধ দাবি করলেও ২০১২ সালের মে মাসে যুক্তরাজ্যের আদালত একে বৈধ বলে রায় দেয়। রায়ের প্রেক্ষিতে যুক্তরাজ্য থেকে সুইডেনে বা যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা হতে পারে আশঙ্কায় জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ জামিনের শর্ত ভঙ্গ করে ২০১২ সালের জুন মাসে অ্যাসাঞ্জ ইকুয়েডর দূতাবাসে যান এবং রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।
এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। গ্রেফতারের পর অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনের ওয়েস্ট মিনিস্টার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে জামিন শর্ত ভঙ্গে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। বুধবার উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে দণ্ড ঘোষণা করা হয়। তবে তার আগে অ্যাসাঞ্জের লেখা ক্ষমা প্রার্থনার চিঠি আদালতে পড়ে শোনানো হয়। চিঠিতে শর্ত ভঙ্গের কারণ হিসেবে কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি খাকাকে কারণ হিসেবে হাজির করেন তিনি। বলেন, ‘যারা এতে অসম্মানিত বোধ করেছেন তাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করছি। ওই সময়ে যা সবচেয়ে ভালো বলে মনে করেছি আমি তাই করেছি অথবা কেবলমাত্র তাই করতে পারতাম’।

অ্যাসাঞ্জের দণ্ড ঘোষণার সময়ে বিচারব দেবোরাহ টেইলর অ্যাসাঞ্জকে বলেন, দূতাবাসে পালিয়ে থেকে আপনি যুক্তরাজ্যে থেকেও ইচ্ছাকৃতভাবে নিজেকে নাগালের বাইরে রেখেছেন।


Spread the love

Leave a Reply