জাতীয় পার্টিকে ৩৮ আসন দিচ্ছে আওয়ামী লীগ

Spread the love

বাংলা সংলাপ ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বণ্টন নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত আলোচনা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে রাজধানীর গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে এবং প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত বৈঠকে জাপাকে ৩৮টি আসন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। এ সময় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে দুপুরে গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, জাতীয় পার্টি শেষ সময়ে ৬৫টি আসন দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ থেকে জাতীয় পার্টিকে জানানো হয়েছে তাদের ৩৮টি আসনের বেশি দেওয়া সম্ভব নয়। জাতীয় পার্টি থেকে অন্তত ৫০টি আসনের বিষয়ে ভাবার জন্য বলা হলে আওয়ামী লীগ থেকে কোনো সাড়া আসেনি।

বৈঠক শেষে রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাকতে চায়। সে প্রত্যাশা থেকেই মহাজোটের আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমি বলব, হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে আলোচনা হয়েছে। তবে এ আলোচনা আরও চলবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, জাতীয় পার্টি সন্তোষজনক আসন পাবে। স্বল্প সময়ের মধ্যেই মহাজোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হবে।

অন্যদিকে বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, এখনো আলাপ-আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে সবকিছু। কালকে বা পরশু হবেই। কাল (রবিবার) না করলেও পরশু (সোমবার) তো করতে হবেই। সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছি। আমরা দলীয় মনোনয়নের কাজ শেষ করেছি। তিনি বলেন, আপাতত এতটুকু বলা যায়, জোটকে ৬৫ থেকে ৭০-এর মতো আসন দেওয়া হবে। এর ব্যতিক্রম হবে না।

জানা গেছে, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্যদের মধ্য থেকে দুই থেকে তিনজন বাদ পড়তে পারেন। সাবেক সংসদ সদস্যদের প্রার্থিতা ঠিক রেখে তাদের ভিন্ন আসন দেওয়া হতে পারে। জাপা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুটি আসনে নির্বাচন করবেন। এর মধ্যে রংপুর-৩ চূড়ান্ত। আর ঢাকা-১৭ এবং নারায়ণগঞ্জ-১ এ দুই আসন থেকে এরশাদকে যে কোনো একটি বেছে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ থেকে জানানো হয়। জাতীয় পার্টি সূত্র জানায়, এরশাদ ঢাকা-১৭ আসনকে বেছে নেবেন।

জাপা মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিনের আসন পটুয়াখালী-১। এ আসনে আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মমন্ত্রী শাজাহান মিয়া এবং তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন মনোনয়নপ্রত্যাশী। তাই এ আসনটি নিয়ে নতুন করে ভাবা হতে পারে বলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে। ঢাকা-১ আসনে বর্তমানে জাতীয় পার্টি থেকে নির্বাচিত অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে সালমান এফ রহমান মনোনয়নপ্রত্যাশী। সে কারণে আসনটি নিয়ে পুনরায় ভাবা হতে পারে। চট্টগ্রাম-৯ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য জিয়া উদ্দিন বাবলুকে চট্টগ্রাম-৬ থেকে দেওয়া হতে পারে। তবে ময়মনসিংহ-৪ আসনে রওশন এরশাদ, লালমনিরহাট-৩ আসনে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি এম কাদের, চট্টগ্রাম-৫ আসনে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, রংপুর-১ আসনে মসিউর রহমান রাঙ্গা, চট্টগ্রাম-৯ আসন থেকে জিয়া উদ্দিন বাবলু, ঢাকা-৬ আসনে কাজী ফিরোজ রশীদ, ঢাকা-৪ আসনে সৈয়দ আবু হোসেন, কিশোরগঞ্জ-১ থেকে মুজিবুল হক ও গাইবান্ধা-১ আসনে শামীম হায়দার পাটোয়ারী চূড়ান্ত।

পুরনোদের পাশাপাশি নতুন করে ৭ নেতা জাতীয় পার্টির তালিকায় যোগ হচ্ছেন। এর মধ্যে ফেনী-৩ আসনে জাতীয় পার্টিতে সদ্য যোগ দেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও ঢাকা-৫ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুস সবুর আসুদ চূড়ান্ত। – সুত্রঃ আমাদের সময়


Spread the love

Leave a Reply